নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
করোনার বিস্তার রোধে এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গত ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এই সময় শিক্ষার্থীদের নিজ বাসায় অবস্থান করে অনলাইনে বা বিকল্প ব্যবস্থায় লেখাপড়া চালিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া থাকলেও নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের অধিকাংশ কোচিং সেন্টারগুলো রয়েছে খোলা। সরকারি বিধি নিষেধের তোয়াক্কা না করেই কোচিংসেন্টার চালু রেখে ক্লাস করাচ্ছে কোচিং সেন্টারগুলোর মালিকরা।
সিদ্ধিরগঞ্জের ভিভিন্ন এলাকায় ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নিয়ে বাহিরে তালা মেরে ভিতরে ভেতরে চলছে কোচিং এ পাঠদান। স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় ছাত্রছাত্রীরা সদলবলে সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৬ টা পর্যন্ত কোচিং এ আসছে। বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে পাঠদান করা হয় ছাত্রছাত্রীদের। এতে করে রয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি।
গত ৩ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়। এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।
সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী এলাকার বাসিন্দা মোখলেছুর রহমান জানান, সরকার করোনার ঝুঁকি এড়ানোর জন্য সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ কোচিং বন্ধের ঘোষণা দেওয়া সত্যেও আমাদের এলাকার কোচিং গুলোতে গোপনে ক্লাস হচ্ছে যা এলাকাবাসীর জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য অনিরাপদ।
একই এলাকার বাসিন্দা মকবুল হোসেন বলেন, লকডাউনের সময় কিছুদিন কোচিট বন্ধ ছিলো। মাসখানেক ধরে কোচিং সেন্টারের মালিকরা এই এলাকার বিভিন্ন ফ্ল্যাটে শিফট ভাগ করে কোচিং চালাচ্ছে। এতে ওইসব ফ্ল্যাটের মানুষরা যেমন করোনা ঝুঁকিতে রয়েছে, তেমনি শিক্ষার্থীরাও অনিরাপদ রয়েছে। এসব ব্যাপারে প্রশাসনের পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অভিভাবক বলেন, বাচ্চারা বাসায় মোটেও পড়াশোনা করে না। তাই বাধ্য হয়ে কোচিংয়ে পাঠাচ্ছি। করোনার ঝুঁকি সম্পর্কে অবগত করতে চাইলে তিনি বলেন, আল্লাহর রহমতে কিছু হবে না।
এ ব্যপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুল ফারুক বলেন, এ ধরণের অভিযোগ পেলে পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।